রোগের কারণ : অলটারনারিয়া ও সারকোসপোরা (Alternaria and Cercospora) প্রজাতির ছত্রাকদ্বয়ের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।রোগের বিস্তার : গাছের পরিত্যক্ত অংশ হতে রোগের জীবাণু বায়ু, পানি প্রভৃতির মাধ্যমে এক জমি হতে অন্য জমি অথবা এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।রোগের লক্ষণ : যে কোনো বয়সের গাছ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।অলটারনারিয়া নামক ছত্রাক পাতায় বিভিন্ন আয়তনের গোলাকার, বাদামি ও চক্রাকার দাগ উৎপন্ন করে। সাধারণত দুর্বল গাছে এই রোগ বেশি হয়। সারকোসপোরা নামক ছত্রাক পাতার ওপরে কোনো দাগ সৃষ্টি করে না কিন্তু পাতার নিচের দিকে ঘন কালো গুঁড়ার আস্তরণের সৃষ্টি করে। রোগের প্রকোপ বেশি হলে পাতা মুচড়িয়ে যায় এবং পরে ঝলসে ঝড়ে পড়ে। প্রতিকার : ফসলের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে, যেমন-বারি ঢেঁড়স-১। পরিমিত সার ও সময়মতো সেচ প্রয়োগ করতে হবে। কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন+থিরাম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে। অলটারনারিয়া পাতায় দাগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-রোভরাল ৫০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা ডাইফেনোকোনাজল+এ্যাজোক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-এমিস্টার টপ ৩২৫ এসসি) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। সারকোসপোরা পাতায় দাগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম অথবা প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ২-৩ বার গাছে স্প্রের করতে হবে।
উত্তর সমূহ
রোগের কারণ : অলটারনারিয়া ও সারকোসপোরা (Alternaria and Cercospora) প্রজাতির ছত্রাকদ্বয়ের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।রোগের বিস্তার : গাছের পরিত্যক্ত অংশ হতে রোগের জীবাণু বায়ু, পানি প্রভৃতির মাধ্যমে এক জমি হতে অন্য জমি অথবা এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।রোগের লক্ষণ : যে কোনো বয়সের গাছ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।অলটারনারিয়া নামক ছত্রাক পাতায় বিভিন্ন আয়তনের গোলাকার, বাদামি ও চক্রাকার দাগ উৎপন্ন করে। সাধারণত দুর্বল গাছে এই রোগ বেশি হয়। সারকোসপোরা নামক ছত্রাক পাতার ওপরে কোনো দাগ সৃষ্টি করে না কিন্তু পাতার নিচের দিকে ঘন কালো গুঁড়ার আস্তরণের সৃষ্টি করে। রোগের প্রকোপ বেশি হলে পাতা মুচড়িয়ে যায় এবং পরে ঝলসে ঝড়ে পড়ে। প্রতিকার : ফসলের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে, যেমন-বারি ঢেঁড়স-১। পরিমিত সার ও সময়মতো সেচ প্রয়োগ করতে হবে। কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন+থিরাম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে। অলটারনারিয়া পাতায় দাগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-রোভরাল ৫০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা ডাইফেনোকোনাজল+এ্যাজোক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-এমিস্টার টপ ৩২৫ এসসি) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। সারকোসপোরা পাতায় দাগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-অটোস্টিন) প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম অথবা প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ২-৩ বার গাছে স্প্রের করতে হবে।